

May 25, 2025
| নিজস্ব প্রতিবেদক
নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে ‘বিকল্প’ না ভেবে ‘প্রকৃত জ্বালানি’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। কারণ পৃথিবীতে মানুষ শুরুতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিই ব্যবহার করত, কিন্তু সে তুলনায় জীবাশ্ম জ্বালানির ইতিহাস অল্পদিনের।
নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে ‘বিকল্প’ না ভেবে ‘প্রকৃত জ্বালানি’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। কারণ পৃথিবীতে মানুষ শুরুতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিই ব্যবহার করত, কিন্তু সে তুলনায় জীবাশ্ম জ্বালানির ইতিহাস অল্পদিনের। বর্তমান বাস্তবতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। আমাদের মূল সমস্যা হলো দুর্নীতি ও অপচয়। এগুলো রোধ করা গেলে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসবে। আবার বাংলাদেশের জ্বালানির পুরো ভ্যালু চেইনে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তার স্বীকৃতি নেই। আবাসিকে ব্যবহৃত বিদ্যুতের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সুবিধাভোগী নারী হলেও নীতিনির্ধারণ, করপোরেট গভর্ন্যান্স ও প্রযুক্তিগত খাতে তাদের অংশগ্রহণ সীমিত। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে শুধু সরকার নয়, বেসরকারি খাত, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। একই সঙ্গে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানি রূপান্তরের পথে এগিয়ে যেতে হবে। এতে শুধু পরিবেশ নয়, অর্থনীতি ও সমাজও উপকৃত হবে।
গতকাল বণিক বার্তা ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক নবায়নযোগ্য জ্বালানির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে বৈঠকটি বণিক বার্তা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে নতুন এবং বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা হয়—এটি ভ্রান্ত ধারণা। সৃষ্টিলগ্ন থেকে পৃথিবীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ছিল। এটি বিকল্প নয়, প্রকৃত জ্বালানি। বরং জীবাশ্ম জ্বালানিই বিকল্প শক্তি। নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা মুখে বললেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অনীহা আছে। এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি ও অপচয়। এ দুইটা কমাতে পারলে মানুষের কাছে সৌরবিদ্যুৎ হবে প্রকৃত পছন্দ। কাউকে তখন সৌরবিদ্যুৎ নিতে বলতে হবে না। সৌরবিদ্যুতে যাওয়া কোনো বিকল্প নয়, বরং আমাদের সেখানে যেতেই হবে। এটাকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে সবাইকে কাজ করতে হবে। সরকার এ ব্যাপারে অত্যন্ত সচেষ্ট।’
অনেকেই নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে উচ্চাভিলাষী বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা উচ্চাভিলাষী নয়। আমাদের প্রচেষ্টা থাকলে তা অর্জন করা সম্ভব। আমরা আড়াই বছরে ৫০ হাজার সোলার সিস্টেম তৈরি করতে পেরেছি। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানির সঙ্গে নারীরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ দেশে সৌরবিদ্যুতের সূচনা হয়েছিল নারীর হাত ধরে। সুতরাং নারীকে বাদ দিয়ে এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কখনো সম্ভব নয়।’
গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের রাইটস অ্যান্ড গভর্ন্যান্স প্রোগ্রামের পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী। তিনি বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে নতুন যে নীতিমালা এসেছে সেটি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে কিনা এবং সেখানে জেন্ডার দৃষ্টিকোণ দেখা হয়েছে কিনা, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আমাদের লক্ষ্য নীতিমালায় সব পর্যায়ের নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ প্রায় নেই। নীতি প্রণয়ন, জ্বালানির পরিকল্পনা, ব্যবহার ও উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রেও তাদের অংশগ্রহণ দেখা যায় না। আবার নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবহারে নারী ও প্রান্তিক মানুষের অবস্থাও খুব একটা সুবিধাজনক নয়। এ বিষয়গুলোয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের মধ্যে একটি পারস্পরিক সহযোগিতা তৈরি করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত দেখতে এ জায়গাগুলোয় আমাদের একমত হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) ডেপুটি সিইও ও সিএফও এসএম মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিল্প-কারখানার ছাদ ব্যবহার করে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ তৈরির চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড়শ মেগাওয়াটের জন্য অর্থায়ন করেছি। একই সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির ছাদ ব্যবহার নিয়েও ভাবছি। এখানে অনেক সম্ভাবনা আছে। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি।’
রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) প্রকৌশলী মো. সেলিম ভূইঁয়া বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতে অনেকগুলো প্রকল্প নেয়া হয়েছে। ২০৩০ সালে এ খাতকে ২০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার যে টার্গেট দেয়া হয়েছে, সেটি পুরোপুরি অর্জন করা অসম্ভব কিছু নয়। ২০৪১ সালে ৩০ শতাংশ করার যে পরিকল্পনা সেটিও অর্জন করা সম্ভব।’
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের (সিইআর) পরিচালক অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্টেম বিভাগে মেয়েদের খুব বেশি অংশগ্রহণ দেখি না। কিন্তু মেডিকেলে আবার উল্টো। নারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সেজন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর সুযোগ অনেক বেশি। প্রচলিত জ্বালানির প্লান্টে নারী প্রকৌশলী পাওয়া যাবে খুব কম। কিন্তু নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বেশ সুযোগ আছে। কারণ এখানে মাঠে লোক লাগে কম। ডেস্কে বসেই অনেক কাজ করা হয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমরা চাই বা না চাই বাজারে চলে আসবে। কারণ এটা সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক।’
কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (ক্লিন) প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫৬ শতাংশ বিদ্যুৎ আবাসিকে ব্যবহার করা হয়। আর আবাসিক খাতের প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ নারীরা ব্যবহার করেন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় সামগ্রিক ভ্যালু চেইনে প্রাথমিকভাবে ৩০ শতাংশ এবং তারপর ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সহজ ও কম খরুচে কিছু কর্মপরিকল্পনা নেয়া দরকার। সুদবিহীন অথবা কম সুদে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে নারীদের জন্য একটা ঋণের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। জ্বালানি খাতের করপোরেট গভর্ন্যান্সে গড়ে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ নারী আছেন। তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য একটা নির্দিষ্ট নির্দেশনা দরকার। সব জ্বালানি প্রকল্পে স্থানীয় অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএম) এবং পরিবেশ ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা (ইএসএম) কমিটি করতে হয়। এই জিআরএম ও ইএসএমে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করলে আমরা যতই তৃণমূল পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে কাজ করতে চাই না কেন, আদৌ কোনো লাভ হবে না।’
ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের লিড এনার্জি অ্যানালিস্ট (বাংলাদেশ) শফিকুল আলম বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমাদের দেশের নারীরা কোনো না কোনোভাবে অনেক আগে থেকে অবদান রেখে আসছেন। এখন সামনের দিনে এ খাতের কারিগরি ক্ষেত্রে কীভাবে তাদের অংশগ্রহণ আরো বাড়ানো যায়, সেই বিষয়গুলো দেখা যেতে পারে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোয় নারীর অংশগ্রহণের এখন আরো বড় সুযোগ রয়েছে।’
গ্লোবাল ক্লাইমেট অ্যান্ড হেলথ লিড স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনসের (জিএসসিসি) গ্লোবাল লিড তাহরিম চৌধুরী আরিবা বলেন, ‘জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে জাতীয় পর্যায়ে আমাদের একটি লিঙ্গভিত্তিক জোট তৈরি করতে হবে। এটি যদি করতে না পারি তাহলে আমাদের আওয়াজ জোরালো করতে পারব না। আমরা জানি নারীদের অনেক সংগঠন, জোট আছে। কিন্তু সেগুলোকে আমাদের সচল করতে হবে। এর মাধ্যমে জোটের দাবি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি।’
বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে আমাদের যে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন ছিল, সেটি এখন হয়ে গেছে। এখন দরকার একে স্কেলআপ করা। নবায়নযোগ্য খাতের প্রসার শুধু সরকারিভাবে সম্ভব নয়, এ খাতে বেসরকারি অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে বেসরকারি খাতে একটা বিজনেস মডেল দিতে হবে।’
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা যে কথাবার্তা বলি, সেগুলো শুনতে অনেক সুন্দর হলেও চর্চার জায়গায় গতানুগতিক পর্যায়েই আছি। আমাদের জ্বালানি নীতিগুলোর একটার সঙ্গে আরেকটার মিল নেই। একেকটায় একেক ধরনের লক্ষ্যমাত্রা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি আরেকটা বিতর্ক তৈরি করছে জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে। এটা ইতিবাচক কিছু হয়নি। আবার নীতিমালাগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানি রূপান্তরের আলোচনা একেবারে অনুপস্থিত। বাংলাদেশের যে নিজস্ব চরিত্র, সংস্কৃতি, নারীদের জীবন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা আছে, সে জিনিসের ছাপ আমরা আমাদের কোনো নীতিতে দেখি না। আমাদের জাতীয় মহাপরিকল্পনা আইপিএমপি বা পিএসএমপিতে আমাদের কোনো অবদান নেই। এগুলো বাইরের দেশের মাথা থেকে সরাসরি এসেছে। স্থানীয় পর্যায়ে তৈরি হয়নি।’
আব্দুন নাকীব জিমি বলেন, ‘আমাদের মনস্তত্ত্ব আসলেই বড় একটি সমস্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশে। একটা কথা আছে যে আমার কোনো সমস্যা বা সুবিধা না থাকলে তা নিয়ে মাথাব্যথার দরকার নেই। এ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও একই কথা বলতে হয়। আমাদের মা-চাচি কিংবা দাদি-নানিরা শ্বাসকষ্টে ভোগার পরও চুলায় লাকড়ির আগুন নিয়ে কোনো অভিযোগ করতেন না। ফলে তাদের এ বিষয় নিয়ে পরিবারের কেউ ভাবতও না। এখন সময় এসেছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার।’
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিএলআইএলের (সোলার অ্যান্ড পাওয়ার) চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘সোশ্যাল হাব নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ভালো একটা বিজনেস মডেল হতে পারে। গ্রাম, ইউনিয়ন অথবা উপজেলাভিত্তিক হাব তৈরির পর একজন নারী উদ্যোক্তা নিজের বাড়িতে থেকেও সেটা পরিচালনা করতে পারবেন। এটা খুব ভালো বিজনেস মডেল হতে পারে।’
বৈঠকে সমাপনী বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। তিনি বলেন, ‘সোলার প্যানেলের দাম কমে আসাটা আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক দিক। কিন্তু এখানে বিনিয়োগের দরকার আছে। আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। কিন্তু একেক সরকার এসে একেকটা উদ্যোগ নেয়। নতুন সরকার এসে বলে যে সব বাদ, নতুন করে করতে হবে। আগের সরকার কত কত বিশাল অযথা প্রকল্প নিল, সবাই এসবের বিরুদ্ধে কথা বলেও কোনো লাভ হয়নি। যতই আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলি, এর সঙ্গে নারীর বিষয়টি যোগ করার কোনো বিকল্প নেই। কারণ ব্যক্তিগত জীবনে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি ভুক্তভোগী হয়। জ্বালানির অভাবে নারী প্রতিদিন যে সময় ব্যয় করে, সেখান থেকে যদি তাকে মুক্ত করা যায়, তাহলে সে অনেক কার্যকরভাবে তার সময় ব্যবহার করতে পারবে। শেষ পর্যন্ত যা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগবে।’
বণিক বার্তার সহকারী সম্পাদক ও বিশেষ সংবাদদাতা মো. বদরুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এমজেএফের সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর (ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট ইউনিট) ওয়াসিউর রহমান তন্ময়, ম্যানেজার (প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, অ্যাডভোকেসি অফিসার মৌসুমী ইয়াসমিন, কমিউনিকেশন ও ডকুমেন্টেশন অফিসার ফাহিম রেজা শোভন প্রমুখ।
সংবাদ লিঙ্ক: নারীকে বাদ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়