

Feb 24, 2025
| কালবেলা প্রতিবেদক
প্রস্তাবিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতির সংকীর্ণ লক্ষ্যমাত্রার কারণে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। বরং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে। জীবাশ্ম জ্বালানির উদ্যোক্তারা আরও বেশি মুনাফাভোগী হবে। ফলে জনগণের ওপর নতুন করে আর্থিক চাপ বাড়বে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোটের (ক্লিন) উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ক্লিনের প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী। উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ এশিয়া প্যাসিফিকের সমন্বয়কারী বারিশ হাসান চৌধুরী ও সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের পরিচালক এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে হাসান মেহেদী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা প্রণয়নে সব সময় সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যায়। ফলে এ খাতের সফলতা অধরাই থেকে যাচ্ছে এবং ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানির উপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা প্রণয়নে চার বছরের বেশি সময় নিয়েছে। এ ছাড়া খসড়া নীতিমালা প্রণয়নে নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের জন্য মাত্র ২১ দিন দেওয়া হয়েছে।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, প্রস্তাবিত নীতিমালাটি প্রণয়নে সরকার বেশ তাড়াহুড়ো করছে। ফলে দায়সারা ড্রাফট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের ভিন্ন ভিন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানি পরিকল্পনা থাকায় বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হতে পারেন।
বারিশ হাসান চৌধুরী বলেন, বেশিরভাগ দেশ নেট-জিরো লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও বাংলাদেশ এখনো এ ধরনের কোনো লক্ষ্য স্থির করেনি।
শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি পরিকল্পনাগুলোর লক্ষ্য অস্পষ্ট। ফলে তা অর্জন করা সম্ভব হয় না।
সংবাদ লিঙ্ক: প্রস্তাবিত নীতি জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা বাড়াবে