Sep 13, 2024
| নিজস্ব প্রতিবেদক | আজকের পত্রিকা
বিগত সরকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠানকে বামন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সংস্কার, নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ ও উন্নয়নবিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউজিইডি)। সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়ানোসহ ১৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিগত সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠানকে বামন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি ডেভেলপমেন্টের (স্রেডা) মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধীরে ধীরে খর্ব করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তি খর্ব করে বিপিডিবি ও মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে একটি চক্র গড়ে উঠেছিল উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বেসরকারি খাতসংশ্লিষ্ট, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আমলা, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লোকজনকে নিয়ে চক্রটি গড়ে উঠেছিল। ফলে জাতীয় চাহিদাসম্পন্ন নীতি কখনো প্রণয়ন করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বিডব্লিউজিইডির সদস্যসচিব হাসান মেহেদি। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনের মতো কালাকানুন স্থগিত করা হয়েছে। বিগত সরকারের ভুল নীতি, দুর্নীতি, রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব ও দুর্বৃত্তায়ন বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতকে পতনের দ্বারে নিয়ে গেছে। যে খাত রাষ্ট্রের শক্তিশালী সম্পদ হওয়ার কথা ছিল, তা এখন বোঝায় পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ১৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়ানো, স্বাধীন গণতদন্ত কমিশন গঠন করা, প্রাথমিক পরিবেশগত নিরীক্ষা (আইইই) ও পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন (ইআইএ) উন্মুক্ত এবং বাধ্যতামূলক করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা।
সংবাদ লিঙ্কঃ বিগত সরকার কিছু প্রতিষ্ঠানকে বামনে পরিণত করেছে