top of page

হুমকির মুখে জেলে ও লবণশিল্প
মাতারবাড়ীর কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল চান স্থানীয়রা

May 11, 2025

| প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে ওরিয়ন গ্রুপের প্রস্তাবিত ৬৩৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ বাতিলের দাবিতে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার মাতারবাড়ী কেজি স্কুল মাঠে আয়োজিত এক গণশুনানিতে শত শত মানুষ তাদের উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গণশুনানির আয়োজন করে বাংলাদেশের প্রতিবেশ এবং উন্নয়নবিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউজিইডি) ও উপকূলীয় জীবন-পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন)। সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা), জেট-নেট বিডি, মহেশখালী জনসুরক্ষা মঞ্চ এবং সংশপ্তক।


শুনানিতে প্রধান বিচারক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খালিদ মিসবাহুজ্জামান। সহ-বিচারক ছিলেন আইনজীবী রাবেয়া সুলতানা, সাংবাদিক মো. নিজামউদ্দিন, শিক্ষক মো. নুরন্নবী এবং ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন।


গণশুনানিতে স্থানীয় কৃষক, জেলে, লবণ ও চিংড়িচাষিরা বলেন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ বাস্তবায়িত হলে পরিবেশ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং হাজার হাজার মানুষ জীবিকা হারাবে। এক জেলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনারা কি চান আমরা ভিটেমাটি ছেড়ে যাই?’


তারা আরও জানান, ইতোমধ্যে ২২৫ একর জমি অধিগ্রহণের ফলে বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সুপেয় পানির সংকট, শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগ বেড়েছে। লবণচাষিরা বলেন, কয়লা প্রকল্পের কারণে জমি কমছে এবং স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে; ফলে ঐতিহ্যবাহী লবণ শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।


গণশুনানিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, এ প্রকল্পের কারণে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে। ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাধা সৃষ্টি করবে এটি। জানা গেছে, সম্প্রতি ১৪৪টি নাগরিক সংগঠন এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। গত ৪ মে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গণস্বাক্ষরসহ একটি আবেদনও করা হয়। গণশুনানি শেষে বিচারকরা বলেন, ‘স্থানীয়দের মতামত ও পরিবেশগত ঝুঁকি বিবেচনায় এই প্রকল্প বাতিলের মতো যথেষ্ট যুক্তি ও সময় সরকারের হাতে রয়েছে।’


সংবাদ লিঙ্ক: মাতারবাড়ীর কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল চান স্থানীয়রা

bottom of page